Sunday, March 27, 2016

Class Ten: Short Question

নবম দশম শ্রেণি : পৌরনীতি নাগরিকতাOnline Classes

পাঠ প্রস্তুতি

সংবিধান

. কত সালে ম্যাগনাকার্টা প্রণয়ন করা হয়

. স্থানীয় সরকার কী?

. চিত্রে ‘?’ চিহ্নিত স্থান দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো                                     

. চিত্রে ‘?’ চিহ্নিত সংগঠনটি কি রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল? বিশ্লেষণ করো 


উত্তর :

. ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা প্রণয়ন করা হয়

. উত্তর : সমগ্র রাষ্ট্রকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করে ক্ষুদ্রতর পরিসরে প্রতিষ্ঠিত সরকার ব্যবস্থাকে স্থানীয় সরকার বলে

কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকারের রূপ দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন স্থানীয় সরকার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার যে সরকার ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রশাসক সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নই এর প্রধান কাজ, তাই স্থানীয় সরকার স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার বলতে এমন ধরনের সরকারব্যবস্থা বোঝায়, যা ছোট ছোট এলাকায় স্থানীয় প্রয়োজন মেটাবার জন্য জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত আইনের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা সিটি করপোরেশন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারে উদাহরণ



. চিত্রে ‘?’ চিহ্নিত স্থান দ্বারা সংবিধানকে বোঝানো হয়েছে

সংবিধান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল যেসব নিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তাকে সংবিধান বলে সরকার কিভাবে নির্বাচিত হবে, আইন, শাসন বিচার বিভাগ কিভাবে গঠিত হবে, এদের ক্ষমতা কী হবে, জনগণ সরকারের সম্পর্ক কেমন হবেএসব বিষয় সংবিধানে উল্লেখ থাকে সংবিধানকে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি বলা হয়

চিত্রে একটি সারণির মাধ্যমে লিপিবদ্ধকরণ বা লেখার ভিত্তিতে সংশোধনের ভিত্তিতে শ্রেণিবিভাগ দেখানো হয়েছে আবার লেখার ভিত্তিতে লিখিত অলিখিত এবং সংশোধনের ভিত্তিতে সুপরিবর্তনীয় দুষ্পরিবর্তনীয় এভাবে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে এগুলো সবই সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ আমরা জানি লেখার ভিত্তিতে সংবিধান দুই প্রকার যথালিখিত অলিখিত লিখিত সংবিধানের অধিকাংশ বিষয় দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত অলিখিত সংবিধানের অধিকাংশ নিয়ম কোনো দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে না চিরাচরিত নিয়ম আচার-অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে ধরনের সংবিধান গড়ে ওঠে যেমনব্রিটেনের সংবিধান অলিখিত আবার সংশোধনের ভিত্তিতে সংবিধান দুই প্রকার যথাসুপরিবর্তনীয় দুষ্পরিবর্তনীয়

সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের কোনো ধারা সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইনসভা এর যেকোনো অংশ সংশোধন করতে পারে যেমনব্রিটিশ সংবিধান সুপরিবর্তনীয় দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের কোনো ধারা সহজে পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না ক্ষেত্রে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে জটিল পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয় যেমনযুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়

. চিত্রে ‘?’ চিহূিত সংগঠনটি অর্থাৎ সংবিধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল বলা হয়

সংবিধান এমন একটি দলিল, যার ওপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্রের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় একে রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকাশক্তিও বলা হয়

সংবিধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল বলার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে কেননা বিশ্বের সব রাষ্ট্রের কোনো না কোনো সংবিধান রয়েছে সংবিধান ছাড়া কোনো রাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে না যে রাষ্ট্রের সংবিধান যত উন্নত, সে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা তত উত্তম সুচারুভাবে পরিচালিত হয় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য উল্লেখযোগ্য বিধিবিধানগুলো সংবিধানে উল্লেখ থাকে সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো উল্লেখ থাকে ফলে জনগণ তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় তা ছাড়া শাসক বা অন্য কোনো বোর্ড অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সংবিধানে জনগণের চাহিদা আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে ছাড়া সামাজিক রীতি-নীতি ঐতিহ্য সংবিধানে প্রতিফলিত হয় সংবিধান সামাজ রাষ্ট্রের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি উল্লেখ থাকে সংবিধান সব সময় জনকল্যাণকামী হয়ে থাকে


উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল বলা যায়

No comments:

Post a Comment