সৃজনশীল
প্রশ্ন
এইচএসসি
প্রস্তুতি : ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
প্রথম পত্র
Online Classes
উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
:
জনাব আকাশ ও মামুন ‘সবুজ’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বীজ থেকে চারা উত্পাদন করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ফুল-ফলসহ বিভিন্ন ধরনের চারা উত্পাদিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের বিষয়টি মাথায় রেখে যথাসম্ভব স্বল্পমূল্যে চারার দাম নির্ধারণ করে;
কিন্তু বিক্রয় ভালো হওয়ায় ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি দুই লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করে। ২০১৪ সালের অর্জিত মুনাফা সদস্যদের মধ্যে বণ্টন না করে তা দিয়ে বিদেশ থেকে আরো বিভিন্ন জাতের বীজ ক্রয় করা হয়।
ক. পর্যায়িতকরণ কী? ১
খ. পুনঃ রপ্তানি বাণিজ্যের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে ‘সবুজ’
নামক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড কোন শিল্পের অন্তর্গত? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ‘সবুজ’
নামক প্রতিষ্ঠানটির কাজকে কী সামাজিক ব্যবসায় বলা যায়?
যুক্তিসহ মতামত দাও।
উত্তর :
ক. পূর্বনির্ধারিত মান অনুযায়ী পণ্যকে বিভিন্ন ভাগে সাজানো বা ভাগ করাকে পর্যায়িতকরণ বলে।
খ. সাধারণভাবে আমদানীকৃত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি বা বিক্রয় করাকে পুনঃ রপ্তানি বলে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক সুবিধাজনক কোনো দেশ থেকে প্রথমে পণ্য আমদানি করেন। এরপর ওই পণ্য সরাসরি অন্য দেশে রপ্তানি করেন। অর্থাৎ যখন পণ্যসামগ্রী নিজ দেশে ভোগ বা ব্যবহারের জন্য না এনে তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানির জন্য আমদানি করা হয়,
তখন তা পুনঃ রপ্তানি নামে পরিচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,
বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়ী যদি ভারত থেকে চাল আমদানি করে তা আবার মধ্যপ্রাচ্যে পাঠায়, তখন সেটা পুনঃ রপ্তানি বাণিজ্য বলে বিবেচিত হবে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘সবুজ’ নামক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড প্রজনন শিল্পের অন্তর্গত। যে শিল্পের মাধ্যমে গাছপালা ও প্রাণীর বংশ বৃদ্ধি করা হয়,
তাকে প্রজনন শিল্প বলে। এ ধরনের শিল্প মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে গাছপালা ও প্রাণীর বংশ বৃদ্ধি এবং পুনঃ উত্পাদন করে তা বিক্রয় করে থাকে।
উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু বীজ থেকে চারা উত্পাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেহেতু এর কর্মকাণ্ড প্রজনন শিল্পের অন্তর্গত। বীজ ও নার্সারি ফার্ম, পোল্ট্রি ফার্ম, মত্স্য খামার প্রভৃতি এরূপ শিল্পের উদাহরণ।
সুতরাং
পরিশেষে বলা যায়,
যেহেতু উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘সবুজ’ নামক প্রতিষ্ঠানটিতে উত্পাদিত পণ্যসামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উত্পাদনের কাজে ব্যবহূত হয়,
তাই এটি প্রজনন শিল্পের অন্তর্গত।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘সবুজ’ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে সামাজিক ব্যবসায় বলা যায়।
যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ
মূলধন বিনিয়োগ করে কিন্তু তার পেছনে মুনাফা বা লভ্যাংশ প্রাপ্তির কোনো উদ্দেশ্য থাকে না,
বরং সামাজিক কল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যই থাকে মুখ্য, তাকে সামাজিক ব্যবসায় বলে। সামাজিক সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবসায় পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের টেকসই উন্নতি (Sustainable development) নিশ্চিত করাই এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থা হলো এমন একটি ব্যবসায় পদ্ধতি যেখানে বিনিয়োগকারী তাঁদের বিনিয়োজিত অর্থ ছাড়া কোনো অতিরিক্ত অর্থ মুনাফা হিসেবে ভোগ করতে পারবেন না;
তবে ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করলে পারিশ্রমিক হিসেবে বেতনাদি পেয়ে থাকেন।
উদ্দীপকে দেখা যায় ‘সবুজ’
নামক প্রতিষ্ঠানটি বীজ থেকে চারা উত্পাদন করে,
যা প্রজনন শিল্পের অন্তর্গত। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে চারা বিক্রি ভালো হওয়ায় দুই লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করে,
যা মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়নি,
বরং ব্যবসায় সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে মুনাফার অংশ দিয়ে অতিরিক্ত বীজ ক্রয় করে। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা অর্জনকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে সমাজের ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে চারার স্বল্পমূল্য নির্ধারণ করে,
যা সামাজিক ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যেহেতু
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি অর্জিত মুনাফা মালিকদের মধ্যে বণ্টন না করে বরং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের টেকসই উন্নতির বিধানকল্পে মুনাফা দিয়ে ব্যবসায় সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে,
তাই এটি একটি সামাজিক ব্যবসায়।
No comments:
Post a Comment